মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন ? যেনে নিন তার উপকারিতা ও অপকারীতা
একনজরে দেখে নিই:
1 মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা
2 মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে কি সুবিধা ও কি অসুবিধা
3 মোবাইল ফোন ব্যবহারের আক্ষরিক অর্থেই সুফল ও কুফল
4 শিক্ষা ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু
4.1 যবনিকা
মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা
বর্তমান আধুনিক সভ্যতার যুগে বিপ্লব এনেছে মোবাইল ফোন। সবার হাতে হাতে পৌঁছে গেছে মোবাইল ফোন।একজন মাঝি নৌকায় মাছ ধরেই হাস্যোজ্জ্বল চোখে সেলফি তুলছে। আহা দেখতে কী আনন্দে সেই মধুময় মহত্ব। আবাল,বৃদ্ধা শিশু, দিন মজ্বর ,গ্রামের সেই দাদিমা থেকে শহরের ছোট্ট শিশু,কৃষক, রিকশাওয়ালা, ড্রাইভার, গার্মেন্ট কর্মী,- সব শ্রেণীর মানুষের হাতে পৌঁছেই গেছে আধুনিক মোবাইল ফোন। অফিসিয়াল হোক বা ব্যাক্তিগত যে কোনো সময় যে কোনো প্রয়োজনে এক প্রান্তের মানুষের সঙ্গে অন্য প্রান্তের মানুষের যে কোনো খোঁজখবর, সংবাদ, ছবি ,মেসেজ পাঠাতে মোবাইল ফোন খুবই জরুরি।মোটামোটি দামে সস্তা,ব্যবহারের কস্ট অল্প এবং সময় স্বল্পতা, সবদিক বিবেচনায় মোবাইল ফোন মানুষের জীবনে জরুরি হয়ে উঠেছে। আর তার সাথে বেড়ে উঠেছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে কি সুবিধা ও কি অসুবিধা
ফেসবুক বলেন ইমো বলেন বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল ফোন । ভাব বিনিময় শেয়ার আদান প্রদান করা সহজ।আর তাইতো রাত জেগে কোমলমতি ছেলে মেয়েরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলেই গল্প করছে, কেউ কেউ আবার প্রেমের বাক্য বিনিময় করছে। আর তাই বর্তমানে এই সংখ্যা বেড়ে গেছে। আগে যেখানে ছেলে মেয়েরা স্কুল আসার পর কেউ ফুটবল, কেউ ক্রিকেট, গোল্লাছুট, আরো কত নাম না জানা খেলা খেলতো, দেখতে কতই না ভালো লাগতো। সেই খেলাগুলো কোথায় যে হারিয়ে গেলো এই প্রযুক্তির কল্যাণে কালের বিবর্তনে। এখন দেখি মোবাইল ফোন নিয়ে ঘরের কোণে বাচ্চারা মোবাইল ফোনে গেম খেলে। অনেক ছেলেমেয়ে খারাপ ছবি দেখে। পড়াশোনা বাদ দিয়ে অযথা সময় অপচয় করে।মোবাইল ফোনের এ নেশাকে বাদ দিতে হবে। প্রত্যেক পরিবারকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িক্ত নিতে হবে যেন মাদকের মতো মোবাইল ফোনও যেন আমাদের সমাজকে জ্ঞানশূন্য না করে, এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। প্রযুক্তির অনেক খারাপ দিক রয়েছে। তাই বলে কি আমরা প্রযুক্তিকে গ্রহণ করব না? প্রযুক্তির ভালো-মন্দ দুটো দিকই রয়েছে। সব কিছু ব্যবহারের মধ্যে একটা নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। আমরা মোবাইল ফোনকে যতই খারাপ বলি না কেন, এটাকে বাদ দেয়ার উপায় নেই। এটা ছাড়া এখন সভ্যতা অচল। তাই সব দিক চিন্তা করে মোবাইল ফোন সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে.
মোবাইল ফোন ব্যবহারের আক্ষরিক অর্থেই সুফল ও কুফল
প্রযুক্তির অতি দ্রুত উন্নতির ফলে মোবাইল ফোন এখন মানুষের জীবনে এক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষে পরিণত হয়েছে। দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে মোবাইল ফোনের উপকারীতা অনস্বীকার্য। কিন্তু এর অপব্যবহার যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে করে মোবাইল ফোনের অপকারীতার পাল্লাই যেন দিন দিন ভারী হচ্ছে। কারণ যত্রতত্র মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে নানা ধরনের অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নিম্নে মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারীতা ও অপকারীতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো .মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন ? যেনে নিন তার উপকারিতা ও অপকারীতা |
উপকারীতা : 1. দ্রুতক্রম আধুনিক তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা, 2. মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার যা জীবনকে করেছে গতিময় ।
অপকারীতা :1. অর্থ ও সময় অপচয়, 2. নেশা ও ব্ল্যাক মেইলিং, 3. সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি ইভটিজিং এর মতো অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি, 4.পর্ণোছবি ও ভিডিও ব্যবহার এর ফলে যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয়,
শিক্ষা ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু
মোবাইল ফোনের জগতে দ্বিতীয় বৃহৎ বাজার হচ্ছে ভারত। দেশটিতে ফিচার ফোনের চেয়ে স্মার্টফোনের চাহিদা দ্রুত ক্রোম বোদ্দমান ভাবে বাড়ছে। স্মার্টফোন ডিভাইসের চাহিদার বৃদ্ধির সঙ্গে সাক্ষরতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত রয়েছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাইবার মিডিয়া রিসার্চের সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
এক গবেষণার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ,ভারতের যেসব রাজ্যে সাক্ষরতার হার বেশি, সেসব রাজ্যের মানুষ ফিচার ফোনের চেয়ে স্মার্টফোন বেশি ব্যবহার করেন। এর ফলে মহারাষ্ট্র, হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাটের নাগরিকদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
যবনিকা
বিজ্ঞানের প্রত্যেকটা জিনিস আমাদের কাছে একদিকে আশীর্বাদ আবার অন্যদিকে অভিশাপ । আমরা কেউ এটা বলতে পারবো না যে বিজ্ঞানের আবিষ্কারের এই জিনিসটা ভালো বা খারাপ। ভালো মন্দ মিশিয়েই আমাদের সব জিনিস সেটা বিজ্ঞানের আবিষ্কার হোক বা প্রকৃতির নিয়ম।চলছেতো চলবে হয়তো আসবে কোনো অন্য আবিষ্কার.
Post a Comment